গঠনবাদী ঘরানা ?

 

  • গঠনবাদী ঘরানা ?

                                                          উনিশশো ত্রিশের দশকে ইউরোপের পট পরিবর্তনে জার্মান বিদেশ নীতির নির্ণায়ক ভূমিকা অনস্বীকার্য। আবিসিনিয়ার পরাধীনতা, স্পেনের গৃহযুদ্ধ অথবা রাইনল্যান্ডের পুনঃসামরিকীকরণ হিটলারের বিদেশ নীতির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রয়োগ ক্ষেত্র হিসাবে দেখা যেতে পারে। আগ্রাসী জার্মান পররাষ্ট্র নীতির প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিক মহলে একাধিক মতের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসানের পর ১৯৫০-এর দশকে জার্মান মহাফেজখানার গোপন নথিপত্র প্রকাশিত হতে থাকলে সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন পরিমার্জিত হতে থাকে। ঐতিহাসিকদের মধ্যেও স্বাভাবিক ভাবে কোন ঐক্যমত গড়ে ওঠে না। অথচ এই যুদ্ধে নাৎসী বিদেশনীতি তথা হিটলারের ভূমিকাকে অস্বীকার করা যায় না। প্রসঙ্গে প্রচলিত মতগুলোর মধ্যে গঠনবাদী ঘরানা নিয়ে আলোচনা করা হল।

জার্মান নীতির একটি ভিন্নতর ব্যাখ্যা জোরদার হয় ১৯৬০-এর দশক থেকে। কোনও ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছা নয়। বরং জার্মান রাষ্ট্র কাঠানোর গঠন উপাদানগুলির কার্যকরণ সম্পর্কই জার্মান বিদেশ নীতিকে অবয়ব দান করেছে। ধরনের একটি মত ক্রমশ জোরদার হয়ে ওঠে। এই তত্ত্বের প্রবক্তাদের গঠনবাদী ঘরানার অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। গঠনবাদীরা মনে করেন যে, জার্মান বিদেশ নীতির কোন সুনির্দিষ্ট রূপ কখনই ছিল না। নাৎসি জার্মানিকে একশৈলিক, কেন্দ্রীভূত একনায়কতন্ত্র বলা চলে না। বরং তা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলোর দ্বারা সৃষ্ট চালিত এক প্রশাসনিক নৈরাজ্যের উদাহরণ। জার্মান রাষ্ট্রনায়ক হিটলার কোন নীতি প্রণয়নে সক্ষম ছিলেন না। বরং রাষ্ট্রকাঠামোর অভ্যন্তরে যে টানাপোড়েন চলত তারই দ্বারা হিটলার চালিত হতেন। ঐতিহাসিক ইয়ান কারশ, হান্স মমসেন, মার্টিন বৎসাচ, টিমোথি ম্যাসন প্রমুখকে গঠনবাদী ঘরানাভুক্ত ধরা যেতে পারে।

Post a Comment

0 Comments