'ব্যক্তি ও নাগরিক অধিকারপত্র'।

 

 

• 'ব্যক্তি ও নাগরিক অধিকারপত্র'।

                                  সংবিধান সভার উল্লেখযোগ্য কাজ হল ১৭৮৯ খ্রীঃ ২৬শে আগষ্ট ‘ব্যক্তি ও নাগরিক অধিকারপত্র ঘোষনা'। ইংল্যান্দের ম্যাগনা কার্টা, 'বিল অব রাইটস, আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র এবং সাধারণভাবে অষ্টাদশ শতাব্দীর জ্ঞানদীপ্ত দার্শনিক মতবাদের অনুকরণে রচিত এই ঘোষরাপত্রটিকে ১৭৯১ খ্রীঃ সংবিধানের মুখবন্ধ বলা যায়। এতে বলা হয় যে—

১)স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার।

২)আইনের চোখে সবাই সমান,

৩)বাক-স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা, সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় ও ভোগের অধিকার প্রভৃতি হল মানুষের সর্বজনীন অধিকার।

৪) জনগণই হল রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।

কেবলমাত্র ফ্রান্স নয়-এই ঘোষণাপত্রে সমগ্র মানবজাতির অধিকারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এর আবেদন সার্বজনীন। ফ্রান্স ও ইউরোপের নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষ এর মধ্যে মুক্তির অধিকার খুজে পায় এবং এই ঘোষনাপত্র ফ্রান্স ও ইউরোপের সর্বত্র আশার সঞ্চার করে। লর্ড অ্যাক্টিন-এর মতে এই ঘোষণাপত্রটি নেপোলিয়নের সমগ্র বাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী ছিল। ঐতিহাসিক ওলার বলেন যে, এই ঘোষনাপত্রটি ছিল ‘পুরাতনতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক।' লেফেভর বলেন যে, ফরাসী বিপ্লবের কালজয়ী আবেদনের সূচনা হয়েছিল এই ঘোষণাপত্রটির মাধ্যমেই।