বাংলা বেদ: [ঋগ্বেদ ১।১] ।।৪ সুক্ত ।।
৪ সুক্ত ।।
অনুবাদঃ
১। যেরূপ দোহক দোহন হেতু সুদুপ্ধবতী গাভীকে আহ্বান করে, আমরাও সেরূপ রক্ষার্থে দিনে দিনে শোভনকর্মা ইন্দ্রকে আহ্বান করি।
২। হে সোমপায়ী ইন্দ্র! আমাদের অভিষবের নিকট এস, সোমপান কর; তুমি ধনবান তুমি হৃষ্ট হলে গাভী দান কর।
৩। আমরা যেন তোমার সমীপবর্তী সুমতিদের মধ্যে থেকে তোমাকে জানতে পারি; আমাদের অতিক্রমে করে অন্যের মধ্যে আপনাকে প্রকাশ করো না; আমাদের নিকট এস।
৪। অজেয় ও মেধাবী ইন্দ্রের সমীপে যাও। এ মেধাবীর কথা জিজ্ঞাসা কর; সে ইন্দ্র তোমার বন্ধুদের শ্রেষ্ঠ ধন দান করেন।
৫। আমাদরে ঋত্বিকেরা ইন্দ্রের পরিচর্যা করে তাঁকে স্তুতি করুন। হে নিন্দুকগণ! এ দেশ হতে এবং অন্য দেশ হতেও দুর হয়ে যাও।
৬। হে শত্রুক্ষয়কারক! শত্রুও যেন আমাদের সৌভাগ্যশালী বলে; আমাদের মিত্রপক্ষীয় মনুষ্যেরা (১) ত বলবেই; যেন আমরা ইন্দ্রের প্রসাদলব্ধ সুখে বাস করি।
৭। এ সোমরস ব্যাপনশীল ও যজ্ঞের সম্পদরূপ এ মানুষকে হৃষ্ট করে, কার্যসাধন করে এবং হর্ষদাতা ইন্দ্রের সখা; যজ্ঞব্যাপী ইন্দ্রকে এ দান কর।
৮। হে শতক্রতু! এ সোমপান করে তুমি বৃত্র প্রভৃতি শত্রুদের হনন করেছিলে, যুদ্ধে (তোমার ভক্ত) যোদ্ধাদের রক্ষা করেছিলে।
৯। হে শতক্রতু! তুমি সে যোদ্ধা! হে ইন্দ্র! ধনলাভার্থ তোমাকে অন্নবান করি।
১০। যিনি ধনের রক্ষক, এবং মহান যিনি কর্মের পুরয়িতা এবং অভিষবকারীর সখা, সে ইন্দ্রের উদ্দেশে গাও।
টীকাঃ ১। কৃষ্টয়ঃ শব্দের অর্থ মনুষ্যা অশ্মিন্মিত্রভূতাঃ। সায়ণ। কৃষ্ ধাতু অর্থ কর্ষণ বা চাষ করা; আর্যেরা কৃষিজীবী ছিলেন সেজন্য বোধ হয় কৃষ্টয়ঃ অর্থ মনুষ্য।
0 Comments