হিড়িম্বাসুর বধ এবং ঘটোৎকচের জন্ম কথা

 হিড়িম্বাসুর বধ এবং ঘটোৎকচের জন্ম কথা


বারণাবত থেকে গোপনে পালিয়ে গিয়ে মাতা কুন্তী সহ পাণ্ডবগণ তখন অরণ্যের মধ্যে দিয়ে পথ হাঁটছিলেন। এক টানা পথ চলার পর ক্লান্ত, অবসন্ন হয়ে তাঁরা এক সময় ঘুমিয়ে পড়লেন। যেখানে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়লেন তার সামান্য দূরে একটি শাল গাছ ছিল, যাতে হিড়িম্বাসুর বাস করতো। সে ছিল এক মাংসভুক, ভীষণ-দর্শন, শক্তিশালী রাক্ষস। তার দাড়ি-গোঁফ-চুল সব লাল রং-এর। তার উপর দাঁতগুলো এত বড় বড় ছিল, যে কারণে তাকে আরও ভয়ংকর দেখতে লাগতো। সে হঠাৎ মানুষের গন্ধ পেয়ে পাণ্ডবদের দূর থেকে দেখে তার বোন হিড়িম্বাকে ডেকে বলল- “বোন! আজ অনেকদিন পর আমাদের প্রিয় মানুষের মাংস খাওয়ার সুযোগ এসেছে। প্রথম দাঁত বসিয়ে ওদের গরম রক্ত পান করব। তারপর আয়েস করে নরমাংস খাব। তুই এখুনি যা, ওদের মেরে নিয়ে আয়, আমার সামনে।”

ভ্রাতার আদেশ পেয়ে হিড়িম্বা সত্ত্বর সেখানে গেল এবং দেখল মাতা কুন্তী সহ চার পাণ্ডব অঘোরে ঘুমাচ্ছেন। তাদের পাহার দিচ্ছেন অমিত বিক্রমী ভীম। ভীমসেনের বিশাল শরীর, আকর্ষণীয় দেহ সৌষ্ঠব, দীর্ঘ বাহু, উজ্জ্বল শ্যাম গায়ের রং, শঙ্খের ন্যায় ধবল ঘাড় এবং কমল নয়ন বিশিষ্ট মুখশ্রী দেখে হিড়িম্বা তাঁকে প্রথম দর্শনে ভালোবেসে ফেললেন। মনে মনে স্থির করলেন যে, তিনি ভাইয়ের আদেশ আর মানবেন না। এঁকে মেরে খেয়ে ফেললে কিছু সময়ের জন্য ভালো লাগবে। কিন্তু বিবাহ করে জীবন সঙ্গী হিসাবে পেলে বহু বছর সুখে সংসার করতে পারা যাবে। তাই তিনি তখন মানবী রূপ ধারণ করে ভীমের কাছে গেলেন।

মৃদু হেসে সলজ্জ হয়ে বললেন- “হে নরোত্তম! কোথা থেকে এসেছেন ? কি বা আপনার পরিচয় ? এখানে যাঁরা শুয়ে ঘুমোচ্ছেন, তাঁরা কারা ? এই বৃদ্ধাই বা কে ? এই ঘোর ঘন জঙ্গলে এভাবে নিশ্চিন্তে কেউ শুয়ে থাকে? এখানে বড় বড় রাক্ষসরা বাস করে। পাশেই থাকে ভয়ংকর হিড়িম্ব রাক্ষস। সে আমাকে পাঠিয়েছে আপনাদের হত্যা করে তার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আপনার দেবতুল্য রূপ ও সৌন্দর্যে নির্বাচিত গল্প সংকলন: উৎস মহাভারত ।

আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনাকে পতিরূপে পেতে চাই । দয়া করে আমায় গ্রহণ করুন।'

হিড়িম্বার কথা শুনে ভীম বললেন— “ওহে রাক্ষসী! আমার মাতা, জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ ভায়েরা ক্লান্ত হয়ে এখানে ঘুমাচ্ছেন। আমি ওদের ফেলে রেখে তোমার সঙ্গে প্রেমালাপ করতে যাব; এমন নির্বোধ আমি নই।”

হিড়িম্বা বললেন— “বেশ! আপনি যেমন বলবেন আমি তাই করবো। এঁদের ঘুম থেকে তুলুন। আমি এঁদের পাহারা দেবো।”

ভীম তা শুনে বললেন- “আমার মা-ভাইয়েরা সুখ-নিদ্রায় মগ্ন আছেন। আমি কোন এক রাক্ষসের ভয়ে তাঁদের জাগিয়ে তুলবো ? তোমাকে বলে রাখি, জগতে নর, রাক্ষস, গন্ধর্ব যে-ই আমার সামনে আসুক, আমি তাদের ভয় পাই না। তাই তুমি এখানে থাক বা চলে যাও তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”

অন্যদিকে হিড়িম্বার ফিরতে বিলম্ব দেখে হিড়িম্ব নিজে চলল পাণ্ডবদের উদ্দেশে। দূর থেকে তাকে আসতে দেখে হিড়িম্বা বললেন– “ঐ দেখুন নরমাংস লোভী নিষ্ঠুর হিড়িম্ব এইদিকে আসছে। আমি রাক্ষসী মায়া জানি। আমি ইচ্ছামতো চলাফেরা করতে পারি। আপনাদের সকলকে নিয়ে আমি আকাশে উড়ে যাব। দয়া করে আমার কথা মতো কাজ করুন।”

ভীম বললেন— “ওহে সুন্দরী! তুমি অযথা ভয় পাচ্ছো। তুমি দেখ, আমি তোমার সামনেই এই দুরাচারী রাক্ষসকে কিভাবে বধ করছি। এই একটি মাত্র রাক্ষস কেন সমগ্র রাক্ষসকুল এলেও আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না । ”

হিড়িম্বা বললেন- “হে মহাবাহু! আমি আপনাকে ছোট করছি না। কিন্তু এই রাক্ষস ভয়ংকর; বিশেষ করে মানুষ দেখলে সে আরও হিংস্র ও মারমুখী হয়ে ওঠে।”

হিড়িম্ব দূর থেকে হিড়িম্বাকে মানবীরূপে দেখে সহজেই তার মতলব বুঝতে পারলো। সে যে সেজে গুজে ভীমের বউ হতে চাইছে তা বুঝতে তার কোনো অসুবিধা হলো না। তখন সে ভয়ংকর ক্রুদ্ধ হয়ে বলল— “হিড়িম্বে! তুই আমার ভোজনে কেন বিঘ্ন সৃষ্টি করছিস ? তুই কি আমার ক্রোধ সম্পর্কে জানিস না ? তুই আমার আশ্রয়ে থেকে আমার অপ্রিয় কাজ করছিস ? দেখ, আমি তোর সামনেই এদের কেমন বধ করছি।”

হিড়িম্বের এমন তর্জন গর্জন এবং ভগিনীর প্রতি ক্রুদ্ধ আচরণ দেখে ভীমসেন বললেন— “ওরে দুরাত্মা! তুই অযথা এত চিৎকার চেঁচামেচি করে কেন এঁদের সুখ নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিস ? কেনই বা নিজের বোনকে মেরে ফেলার ভয় দেখাচ্ছিস ?

সাহস থাকে তো আমার সঙ্গে যুদ্ধ কর। হ্যাঁ, হিড়িম্বা আমাকে দেখে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সে যখন পতিরূপে আমাকে পেতে চাইছে আমি তাকে অবশ্যই রক্ষা করবো। তুই পারলে আমার সঙ্গে যুদ্ধ কর। ওরে মূর্খ! তুই প্রতিদিন অসংখ্য নরহত্যা করে এই অরণ্য পাপে পরিপূর্ণ করে চলেছিস। আমি তোকে বধ করে এই অরণ্য রাক্ষসশূন্য ও পাপমুক্ত করব। তোর মৃত্যু হলে এখানকার অরণ্যবাসীগণ নিঃশঙ্কচিত্তে বসবাস করতে পারবে।”

ভীমসেনের কথায় হিড়িম্ব ভীষণ রেগে গিয়ে বলল- “ওরে নরাধম! তোর অহংকার এখুনি আমি চিরকালের মতো শেষ করে দিচ্ছি। যারা ঘুমিয়ে আছে তাদের এখন কিছু বলছি না। আগে তোকে বধ করে তোর রক্ত পান করি; তারপর এই নিদ্রিতদের এবং আমার মহাপাপী বোনকে সংহার করে তবেই শান্ত হবো।”

এরপর দুজন ধস্তাধস্তি করতে করতে অনেক দূর চলে গেল। কিছুক্ষণ পর তারা গাছ উপড়ে মারামারি শুরু করে দিল। এদিকে তাদের দুজনের তর্জন গর্জনে কুন্তী ও পাণ্ডবদের ঘুম ভেঙে গেল। তাঁরা উঠে দেখলেন এক সুন্দরী কন্যা হিড়িম্বা দাঁড়িয়ে আছে । তাকে দেখে কুন্তী জিজ্ঞাসা করলেন— “কে তুমি ? এখানে কেন এসেছো ?

হিড়িম্বা প্রত্যুত্তরে বললেন— “এই গভীর বনাঞ্চল আমার ভাই হিড়িম্বের বিচরণক্ষেত্র। সে আপনাদের হত্যা করার জন্য আমাকে এখানে পাঠিয়েছিল। কিন্তু এখানে এসে আপনার পুত্রকে দেখে আমি তাঁর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছি। মনে মনে তাঁকে পতিরূপে বরণ করেছি। আমার দেরি হচ্ছে দেখে আমার ভাই একটু পরে এখানে চলে আসে। এখন তারা দুজন দূরে— দেখুন, কী ভীষণ যুদ্ধ করছে।

ইতিমধ্যে ভীমসেন এই যুদ্ধে তখন একটু পিছু হঠেছিলেন তা দেখে অর্জুন, নকুল ও সহদেবকে বললেন— “তোরা দুজন মা'কে লক্ষ্য রাখ। আমি ততক্ষণে শয়তানটিকে বধ করে আসি।”

তা শুনে ভীমসেন বললেন– “কোনো প্রয়োজন নেই ভাই অর্জুন। আমি একাই একে এখুনি মেরে ফেলছি।”

তারপর ভীম রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে হিড়িম্বকে শূন্যে তুলে কয়েকবার ঘোরালেন। বললেন— “এতদিন নরমাংস খেয়ে বেশ হৃষ্ট পুষ্ট হয়েছিস। কিন্তু ভীমসেনের হাত থেকে তোর বাঁচার কোনো উপায় নেই। তোর ভবলীলা এখনই সাঙ্গ হচ্ছে।” –এই বলে ভীমসেন হিড়ি ম্বকে সজোরে আছড়ে ফেললেন মাটিতে। দুর্ধর্ষ রাক্ষস তাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। 1

হিড়িম্ব বধ সম্পূর্ণ হলে অর্জুন এসে ভীমকে বললেন— “চলো ভাই, এখান


থেকে তাড়াতাড়ি আমরা চলে যাই। না হলে দুর্যোধন যে কোন সময় আমাদের খবর পেয়ে যাবে।”

অর্জুনের সাবধান বাণী মেনে নিয়ে তারপর পঞ্চভ্রাতা তাঁদের মাকে সঙ্গে নিয়ে

পথ চলতে শুরু করলেন।

পান্ডবদের পথ চলা শুরু হলে হিড়িম্বা ও তাঁদের পেছনে পেছনে হাঁটতে শুরু করে। সামান্য পরে ভীম তাকে দেখে বললেন— “ওহে রাক্ষসী! তুমি মায়ার সাহায্যে নিশ্চয়ই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাদের পিছু নিয়েছো। তুমি ফিরে যাও, না হলে তোমার কপালে তোমার ভাইয়ের মত চরম দুঃখ আছে।”

যুধিষ্ঠির এ কথা শুনে ভীমকে বললেন— “এ তুমি কি বলছো ভীমসেন ? ক্রোধ বশতও কোন নারীর গায়ে হাত তোলা উচিত নয়। তাছাড়া তুমি এই স্ত্রীলোকের ভাইকে হত্যা করেছো। একা এই অভাগিনী এখন যাবে কোথায় ?”

হিড়িম্বা তখন যুধিষ্ঠির ও মাতা কুন্তীকে প্রণাম করে বললেন- “হে আর্যে! আপনিতো জানেন একজন নারীর কামপীড়া হলে কেমন কষ্ট হয়। আমি আপনার পুত্রকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য আত্মীয় বন্ধুবান্ধব সবাইকে ত্যাগ করে আপনাদের সঙ্গে চলেছি। এখন যদি আপনারা আমাকে গ্রহণ না করেন তাহলে আমার প্রাণত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমি আপনার পুত্রকে কিছুদিনের জন্য নিয়ে যেতে চাই। আমাকে যখনই স্মরণ করবেন আমি তখনই ফিরে আসবো। যত কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন, আমি আপনাদের সাহায্য করবো। বিপদের সময় যিনি ধর্মকে রক্ষা করেন, তিনি তো প্রকৃত ধর্মাত্মা। আমাকে বাঁচান!”

যুধিষ্ঠির হিড়িম্বার কথায় বিশেষ সন্তুষ্ট হয়ে বললেন— “তোমার প্রার্থনা মেনে নিলাম । প্রতিদিন সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত তুমি ভীমসেনকে পতিরূপে সঙ্গে পাবে। তার সেবা করবে। আবার যখনই সূর্যাস্ত হবে তুমি তাকে আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে যাবে।”

হিড়িম্বা যুধিষ্ঠিরের এই কথা খুশি মনে মেনে নিলেন। কিন্তু ভীমসেন তখন আর একটি শর্ত দিলেন যে, যতদিন না তাঁদের পুত্র সন্তান হচ্ছে ততদিন তিনি হিড়িম্বার সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু পুত্র জন্ম নিলে তিনি আর হিড়িম্বার সঙ্গে থাকবেন না ।

বলা বাহুল্য, হিড়িম্বা ভীমসেনের এই কথাটিও মেনে নিলেন এবং এরপর ভীমকে নিয়ে তাঁরা আকাশ পথে রওনা দিলেন। এবার হিড়িম্বা সুন্দর রূপ ধারন করে সুদৃশ্য বসন-ভূষনে সেজে গুজে ভীমকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়ে পড়লেন। নব-দম্পতি পাহাড়ে-জঙ্গলে-সরোবরে-নগরে-প্রান্তরে মনের সুখে নানা স্থানে বেড়াতে লাগলেন ।

এভাবে বেশ কিছু কাল কাটানোর পর হিড়িম্বার গর্ভে একদিন এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলো। নবজাতকের ছিল বড় বড় চোখ, বিশাল বপু, কুলোর মতো কান, রক্তবর্ণ ঠোঁট, লম্বা-লম্বা হাত, ধারালো দাঁত, অমিত বিক্রম শক্তি এবং তীব্র বিকট আওয়াজ। সে দ্রুত বড় হতে লাগলো এবং ক্রমে নানান শাস্ত্রে পণ্ডিত এবং বীর যোদ্ধা হয়ে উঠলো।

বলা বাহুল্য, হিড়িম্বার সন্তানের মাথায় কোন চুল ছিল না। সে একদিন পিতা- মাতার সামনে এসে প্রণাম করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করলো। তার 'ঘট' অর্থাৎ মস্তক ছিল ‘উৎকোচ’ অর্থাৎ কেশহীন-তাই তার নাম রাখা হলো ঘটোৎকচ। ঘটোৎকচ পাণ্ডবদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতো এবং ভালোবাসতো। পাণ্ডবেরাও তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভালোবাসা দিয়েছিলেন। হিড়িম্বা যখন বুঝলেন যে, ভীমসেনকে আর ধরে রাখা ঠিক না; তখন তিনি একদিন মাতা কুন্তী এবং পাণ্ডব ভ্রাতাদের সামনে ঘটোৎকচকে আনলে ঘটোৎকচ প্রণাম করে বললো- “আপনারা আমার আপনজন, পূজনীয়। আমাকে আদেশ করুন, আমি আপনাদের জন্য কি করতে পারি।”

মাতা কুন্তী বললেন— পুত্র! তুমি কুরুবংশে জন্মেছো। ভীমসেনের যোগ্য উত্তরসূরি, যথার্থ বীর তুমি । আমার পাঁচ পুত্রের বংশে তুমি সর্বজ্যেষ্ঠ। তাই তোমার দায়িত্ব প্রচুর। আজ নয়, তোমার সাহায্যের নিশ্চয়ই প্রয়োজন হবে। যখন সে দিন আসবে তখন তোমাকে আমরা স্মরণ করবো।”

ঘটোৎকচ বললেন—“ তাই হবে মাতা! আমি আপনাদের আদেশের অপেক্ষায় থাকব।” –এই বলে সে উত্তর দিকে গমন করলো।

প্রসঙ্গত মহাভারতের যুদ্ধে ঘটোৎকচ সমগ্র কৌরব শক্তির মধ্যে একাই ত্রাসের সঞ্চার করেছিল। তার অমিত-বিক্রম, রণকৌশল ও ভয়ংকর সংহার মূর্তি কৌরব সৈন্যদলকে যখন নিশ্চিত হারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন কর্ণ দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া একাঘ্নি অস্ত্র প্রয়োগ করে তাঁকে বধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কর্ণ এই দিব্যাস্ত্রটি অর্জুনকে নিধন করার জন্য নির্দ্দিষ্ট করে রেখেছিলেন। ঘটোৎকচ তার জীবন দিয়ে পরোক্ষে সেদিন তার পিতৃব্যের জীবন রক্ষা করেছিলেন।

তাই হিড়িম্বাসুর বধ মহাভারতের কাহিনী বিন্যাসে নিছক সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। হিড়িম্বাসুর বধের মাধ্যমে হিড়িম্বার সঙ্গে পান্ডবদের পরিচয় হয়েছিল। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই ঘটোৎকচের জন্ম । আর ঘটোৎকচ সামান্য এক রাক্ষসীর গর্ভে জাত হলেও তার কর্তব্যনিষ্ঠা এবং আত্মত্যাগ সকলকে মুগ্ধ করেছিল।

এই গল্পটি মহাভারতের আদিপর্বের তিপান্নতম অধ্যায়ে বর্ণিত ।


Post a Comment

0 Comments