বাংলা বেদ:
ঋগ্বেদ সংহিতা (রমেশচন্দ্র দত্ত) :
প্রথম মণ্ডল(১ সুক্ত- ১০ সুক্ত)
প্রথম মণ্ডল : বিভিন্ন ঋষি
[ঋগ্বেদ ১।১]
১ সুক্ত ।।
अग्निमीळे पुरोहितं यज्ञस्य देवं रत्वीजम |
होतारं रत्नधातमम ||
अग्निः पूर्वेभिर्र्षिभिरीड्यो नूतनैरुत |
स देवानेह वक्षति ||
अग्निना रयिमश्नवत पोषमेव दिवे-दिवे |
यशसं वीरवत्तमम ||
अग्ने यं यज्ञमध्वरं विश्वतः परिभूरसि |
स इद्देवेषु गछति ||
अग्निर्होता कविक्रतुः सत्यश्चित्रश्रवस्तमः |
देवो देवेभिरा गमत ||
यदङग दाशुषे तवमग्ने भद्रं करिष्यसि |
तवेत तत सत्यमङगिरः ||
उप तवाग्ने दिवे-दिवे दोषावस्तर्धिया वयम |
नमो भरन्त एमसि ||
राजन्तमध्वराणां गोपां रतस्य दीदिविम |
वर्धमानंस्वे दमे ||
स नः पितेव सूनवे.अग्ने सूपायनो भव |
सचस्वा नः सवस्तये ||
২। অগ্নি পূর্ব ঋষিদের স্তুতিভাজন ছিলেন, নুতন ঋষিদেরো স্তুতিভাজন; তিনি দেবগণকে এ যজ্ঞে আনুন
৩। অগ্নিদ্বারা যজমান ধনলাভ করেন, সে ধন দিন দিন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও যশোযুক্ত হয় ও তা দিয়ে অনেক বীরপুরুষ নিযুক্ত করা যায়।
৪। হে অগ্নি! তুমি যে যজ্ঞ চারদিকে বেষ্টন করে থাক সে যজ্ঞ কেউ হিংসা করতে পারে না এবং সে যজ্ঞ নি:সন্দেহেই দেবগণের নিকটে গমন করে।
৫। অগ্নি দেবগণের আহ্বানকারী; সিদ্ধকর্মা, সভ্যপরায়ণ ও প্রভূত ও বিবিধ কীর্তিযুক্ত; সে দেব দেবগণের সঙ্গে এ যজ্ঞে আগমন করুন।
৬। হে অগ্নি! তুমি হব্যদাতা যজমানের যে কল্যাণ সাধন করবে, হে অঙ্গিরা সে কল্যাণ প্রকৃত তোমারই।
৭। হে অগ্নি! আমরা দিনে দিনে দিনরাত মনের সাথে নমস্কার সম্পাদন করে তোমার সমীপে আসছি।
৮। তুমি দীপ্যমান, তুমি যজ্ঞের রক্ষক, যজ্ঞের অতিশয় দীপ্তিকারক, এবং যজ্ঞশালায় বর্ধনশীল।
৯। পুত্রের নিকট পিতা যেরূপ অনায়াসে অধিগম্য, হে অগ্নি! তুমি আমাদের নিকট সেরূপ হো; মঙ্গলার্থ আমাদরে নিকটে বাস কর।
টীকাঃ
১। নৈরুক্তদের মতে দেব তিন জন, পৃথিবীতে অগ্নি, অন্তরিক্ষে ইন্দ্র বা বায়ু এবং আকাশে সূর্য। তাঁদের মহাভাগ্য কারণ এক জনের অনেকগুলি নাম, অথবা এটি পৃথক পৃথক কর্মের জন্য, যথা হোতা, অধ্বর্যু, ব্রহ্মা, উদগাতা অথবা তাঁরা পৃথক পৃথক দেবই ছিলেন, কেন না তাঁদের পৃথকরূপে স্তুতি করা হয়েছে এবং পৃথক পৃথক নাম দেওয়া হয়েছে। নিরুক্ত ৭।। ৫। এ থেকে বোঝা যায় যে সে সময়ে ভারতবর্ষের তিনজন অগ্রগন্য দেবের মধ্যে অগ্নি একজন ছিলেন। ঋগ্বেদ সংহিতায় অগ্নি সমন্ধে যতগুলি সুক্ত আছে, ইন্দ্র ভিন্ন অন্য কোনো দেব সম্বন্ধে ততগুলি নেই।
২। অগ্নি না হলে যজ্ঞ হয় না, এ জন্য ঋগ্বেদে অনেক স্থলে অগ্নিকে পুরোহিত বলা হয়েছে। যথা রাজ্ঞ: পুরোহিত: তদভীষ্টং সম্পাদয়তি তথা অগ্নিরপি অপেক্ষিতং হোমং সম্পাদয়তি যদ্বা যজ্ঞস্য সম্বন্ধিনি পূর্বভাগে আহবনীয়রূপেণ অবস্থিতম। সায়ণ।
0 Comments