গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনার নিরিখে গ্রন্থাগার সমিতি :

  • গ্রন্থাগার সমিতির এসব কারণের জন্য উপযোগী সেগুলি হল-

1) সমিতি গ্রন্থাগার ও সমাজের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে৷ সমাজ ও মানব এর প্রয়োজনীয়তা ইহার দ্বারা ব্যাখ্যা তো

হয়৷

2) গ্রন্থাগারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব শুধু গ্রন্থাগারের উপর বসানো ঠিক নয় বলে মনে করা হয়৷

3) সমিতি না থাকলে গ্রন্থাগারিক নিজেকে অরক্ষিত ও প্রতিরোধহীন মনে করতে পারেন৷

4)গ্রন্থাগারে অর্থসংকট উপস্থিত হলে গ্রন্থাগারিক জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন বলে সমাজের কাছে কার্যকরভাবে অর্থ সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পাে

অর্থ সংগ্রহ করতে পারে৷

অপরপক্ষে সমিতিতে জনপ্রতিনিধি থাকায় তা সহজে ও সফলভাবে সমাজ থেকে

5) গ্রন্থাগার সমিতির সহায়তায় গ্রন্থাগারে নিজস্ব ভাবধারার রুপায়ন কে সহজ ও সুগম করে তুলতে পারেন৷

6)সমিতির জনপ্রতিনিধিরা গ্রন্থাগার সম্পর্কে খুব বেশি ওয়াকিবহাল না হতে পারেন৷ এক্ষেত্রে গ্রন্থাগারিকের মতামত তাদের কাছে প্রাধান্য পেতে পারে৷ এভাবে প্রশাসক হিসেবে গ্রন্থাগারিকের ব্যক্তিত্বের স্ফুরণ ঘটে।

7)গ্রন্থাগারিকের কাজ বৃত্তি হিসেবে সমাজে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই স্বীকৃতির ব্যাপারে সমিতির সমর্থন বিশেষভাবে উল্লেখ্যনীয়৷ ৪)সমিতি জাতীয় মান অনুযায়ী গ্রন্থাগারে আর্থিক চাহিদা নির্ণয় করতে পারে৷

9)সমিতির জাতীয় মান অনুযায়ী একজন দক্ষ গ্রন্থাগারিক ও তার সহকর্মীরা নিয়োগ করতে পারেন এবং তাদের গুনাগুন নির্ধারণ করতে সমর্থ হয়৷

10) গ্রন্থাগারে নীতি ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তুলতে সমিতির সক্রিয় ভূমিকা অনস্বীকার্য৷

11) সমিতির সংবদ্ধ ও শক্তিশালী কণ্ঠস্বর সহজেই গ্রন্থাগার কর্তৃত্ব ও জনসমাজকে নাড়া দিতে পারে৷

12)সমিতির গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রন্থকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগ স্থাপন করতে

পারে৷

13) সমিতি গ্রন্থাগারকে সতর্ক রাখে ও তার কোনো হঠকারী কাজের বাধাস্বরূপ হয়ে থাকে।

14) সমিতিকে বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব থাকায় বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষার সুবিধা হয়৷

15) বিভিন্ন সদস্যদের নানা অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতায় সমিতির সিদ্ধান্তের মুখ্য ও গুরুত্বের বৃদ্ধি হয়৷ গ্রন্থাগার সমিতির রূপভেদ :

কর্মের বা দায়িত্বের প্রকারভেদ অনুযায়ী গ্রন্থাগার সমিতি ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের৷ এডমন্ড ভি. বর্বেট কতগুলি স্থায়ী বা শার্লিন কমিটির কথা জানিয়েছেন, সেগুলি হল-

1) নির্বাহী সমিতি(Executive Committee)

2) প্রতিবেদক সমিতি(Reporting Committee) 

3) সুপারিশী সমিতি(Recommending Committee) 

4) মন্ত্রণা সমিতি(Advisory Committee)

এছাড়া আরও তিন প্রকার সমিতির কথা বলা হয়েছে- 

5) স্বনিযুক্ত সমিতি(Self-Perpetuating Committee)

6) অস্থায়ী সমিতি (ad hoc Committee)

7) নির্বাচিত/ মনোনীত সমিতি (Elected Nominated Committee)


সংক্ষেপে গ্রন্থাগার সমিতির কাজ:

গ্রন্থাগার কর্তৃত্ব গ্রন্থাগার সমিতিকে যেসব ক্ষমতা অর্জন করে সেগুলি দিয়েই তার দায়িত্ব ও করণীয় কাজ নির্ধারণ করা যায়৷ গ্রন্থাগার সমৃদ্ধি গ্রন্থাগারের নি তিনি এই বিশেষ ভাবে ভাবনা চিন্তা করবেন৷ গ্রন্থাগারের অনেক প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিক কাজ, যেমন- বিভিন্ন বিভাগের স্থান নির্ধারণ, কর্মীদের করণীয় কাজ নির্দিষ্ট করা, বর্গীকরণ, সূচীকরণ ইত্যাদি গ্রন্থাগারিকের দায়িত্বে ছেড়ে দিতে হবে৷ বুদ্ধিগত যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রন্থাগারিক এইসব প্রযুক্তিক কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন৷ গ্রন্থাগারের প্রশাসনিক ও প্রযুক্তি কর্মে সমিতির হস্তক্ষেপ যথাসম্ভব হওয়া বাঞ্ছনীয়৷ গ্রন্থাগারিক ও সমিতি সম্পর্ক হবে হার্দিক। সাধারণভাবে গ্রন্থাগার সমিতির কাজ হবে-

1) যোগ্য ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা

2) উপযুক্ত স্থানে ক্রিয়ামূলক ও স্তম্ভ দূরত্বমূলক রীতি(modelar type); ানের ব্যবস্থা করা৷ এতে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা থাকবে৷ 3) গ্রন্থাগারে আবশ্যকীয় অসাবধানতাবশত ও অন্যান্য সরঞ্জাম এর ব্যবস্থা করা।

4) যুক্তিযুক্ত গ্রন্থাগার নিয়ম প্রণয়ন করা৷

5) যথেষ্ট পরিমাণে গ্রন্থাকার সেবার ব্যবস্থা করা

6) সম্পদ সংগ্রহ, কর্মী নিয়োগ, সরঞ্জাম ক্রয়, ভবন পরিচালনা প্রভৃতির জন্য অর্থের সংস্থান করা৷

7) প্রয়োজন অনুযায়ী উপ সমিতি গঠন করা।

৪) আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করা৷

9) বিভিন্ন বিভাগ, কর্মী, শাখা প্রভৃতির মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা৷


স্ট্যাক পদ্ধতি বলতে কী বোঝেন? পুস্তকের সঠিক বিন্যাসের জন্য গ্রন্থাগারে বিভিন্ন সেলভিং পদ্ধতি গুলি আলোচনা করুন?

অথবা

স্ট্যাকরূপ ও সেলফের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও গৃহীত পদক্ষেপ সম্বন্ধে আলোচনা করুন?

অথবা

গ্রন্থাগারের স্ট্যাক এর বিভিন্ন পদ্ধতি ও নীতিগুলি আলোচনা করুন?


গ্রন্থের সম্ভার গ্রন্থ বিন্যাস স্ট্যাক পদ্ধতি


গ্রন্থাগারে নথিপত্র যদি যথচিতভাবে বিন্যাস সজ্জিত করা না হয় তাহলে সুষ্ঠ পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নহে। সুতরাং শুধু বর্গীকরণ বা সূচীকরণ করলে হবে না, বইয়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন৷ এর জন্য বইগুলিকে তাকে বিন্যস্ত করা হয়৷ ক্রমাগতভাবে লক্ষ্য রাখা যাতে বইগুলি তাকে সুন্দরভাবে সজ্জিত থাকে৷ যদি বইগুলি গ্রন্থাগারে ঠিকভাবে সঞ্চিত থাকে তাহলে পাঠকের পরিষেবা দিতে বিলম্ব হবে না এবং বই ফেরত আসার সাথে সাথে বইটিকে তাকে ঠিক জায়গায় রাখা হয়৷ অধিকাংশ গ্রন্থাগারে স্ট্যাক রুমের উপযুক্ত পরিবেশ থাকেনা৷ কিন্তু এই স্থলটি গ্রন্থাগারের আত্মা৷ গ্রন্থাগার তৈরীর সময় স্টাক রুমটি পরিকল্পনামাফিক তৈরি করতে হবে৷ এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, সহজগম্যতা, গ্রন্থের স্থান সংকুলান, আদ্রতা মুক্ত মিল বায়ু এবং সম্প্রসারণের সুযোগ প্রত্যেকটি স্ট্যাক রুমে থাকা প্রয়োজন৷

স্ট্যাকিং-এর নীতি: সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক সংগতির কারণে স্টাকিং এর গুরুত্ব অপরিসীম৷ যখন লাইব্রেরী তৈরি করা হবে, তখন আর্কিটেক্ট গ্রন্থাগারক এবং যন্ত্রপাতি নির্মায়কে সাথে সংযোগ থাকবে সংক্ষিপ্তভাবে৷

রাখা যাবে৷

১) গ্রন্থাগারকে এমনভাবে নির্মাণ করা হবে যাতে মোটামুটি ভাবে বই রাখা যায়৷

২) প্রত্যেকে যেন পরিষেবা দেবার জন্য গ্রন্থটিকে প্রস্তুত করা হয়৷

৩) সুষ্ঠু আলোর ব্যবস্থা৷

৪) সুষ্ঠু বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা৷

৫) গ্রন্থাগারিকের প্রসারণ।

a) প্রথম নীতি অনুসারে তাক গুলিকে ইচ্ছা মন দূরত্বে বসিয়ে নেবার সুযোগ থাকা দরকার৷ এতে বিভিন্ন আকারের বইকেও সচ্ছন্দে

b) সেলফের উচ্চতা এমন হওয়া প্রয়োজন যাতে সাধারণ উচ্চতা বিশিষ্ট মানুষ ও সর্বোচ্চ তাকের নাগাল পায়৷ সাত ফুটের বেশি তাকের উচ্চতা হওয়া বাঞ্ছনীয় নহে।

c) দ্বিতীয় নীতি অনুসারে সম্প্রসারণ এর ব্যবস্থা যথেষ্ট পরিমাণে থাকা চাই। ঘরের মাপ এবং আলমারির মাপ হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ যাতে নতুন আলমারি বা তাক বসানো যায়৷

d) বিষয় অনুসারে বইগুলিকে বিন্যস্ত করতে হবে৷ তাকগুলিকে সুন্দর ও মজবুত হবে৷

e) নীতি অনুসারে আলো-হাওয়া যথেষ্ট চলাচল করা অত্যন্ত দরকার৷ তাই গ্রন্থাগারের দরজা-জানলা এমন হওয়া প্রয়োজন যাতে আলো-বাতাস বইগুলিতে আসতে পারে ধুলো থেকে গ্রন্থগুলিকে রক্ষা করার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷

f) কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা উচিত।

g)পঞ্চম নীতি অনুসারে সর্বাধিক সংখ্যক বইয়ের স্থান সংকুলানের প্রয়োজন৷ এগুলি হবে দুমুখো৷ যাতে দুদিকেই বই রাখা যায় এবং তাকের ঢাকা দরকার যথাসম্ভব পরিসরের অপচয় নিবারণ করা ও আয়তন গ্রন্থের আয়তন এর সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে৷ বিভিন্ন লাইব্রেরীতে স্ট্যাক পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের হয়৷ 

বিভিন্ন স্ট্যাকগুলি এরূপ হয়:

১) সংবদ্ধ তাক: বইগুলি দুই সারি করে সাজানো হয়। এে পেছনের সারির গ্রন্থ দেখতে অসুবিধা হয়৷ তাই বইগুলিকে দুটি স্তরে

ভাগ করে খোলা রাখা হয়৷

২) হিন্ডডে স্ট্যাক: এটি এক ধরনের সংবদ্ধ তাক। শুধু কব্জা দিয়ে দরজার মতো একটা প্রেসকে রাকের সামনে আটকে দেওয়া

৩) ব্রাকেট স্ট্যাকস: এই পদ্ধতিতে স্বল্প পরিসরে অধিক সংখ্যক বই রাখা যায়৷ যেখানে তাকগুলি মনোত সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়৷

৪) বহুতল বিশিষ্ট স্ট্যাক: এখানে ঘরের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত প্রসারিত হয়৷ ধাতব একটি ফ্রেম ওয়ার্ক বই রাখার জন্য ব্যবহার

করা হয়৷ রাকের উপরের দিকে সম্প্রসারণ সহজ। প্রত্যেকটি তাক অপর তাকের সাথে উলম্বভাবে যুক্ত থাকে ৷

৫) টাওয়ার স্ট্যাটাস: এখানে তাকের উপর তাক বসিয়ে বেশি সংখ্যক গ্রন্থের জায়গা করা হয়৷ তাক গুলি কাঠের হয় যাতে নিচের তাকগুলি ভেঙে না যায়৷ সাধারণ হাতের নাগালের মধ্যে গ্রন্থ থাকে না৷ উপরের তাকের গ্রন্থ নামানোর জন্য সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়৷

৬) রোলিং স্ট্যক: চক্রযুক্ত স্ট্যাক পরিসর সমস্যা সমাধানের জন্য একটি চমৎকার পন্থা৷

৭) সংহত সংস্থান: ফ্রিজন্ট রাইডার এই পদ্ধতির বড় সমর্থক। এটি একটি বিশেষ ধরনের স্ট্যাক যার মধ্যে তিনটি স্ট্যাক সন্নিহিত থাকে৷ যেসব গ্রন্থাগার খুব বড় এবং যেখানে স্থান সমস্যা তীব্র সেখানে এই পদ্ধতির উপযোগিতা আছে৷ সেখানে অবিরত বই ব্যবহার হয় না, সেখানে এটি উপযুক্ত।

সাধারণত গ্রন্থাগারে দুটি খোলা সাতটি বা আটটি তাক যুক্ত স্ট্যাক ব্যবহার করা হয়৷ মাঝে দুটি সারি একটি তাকে তৈরীর জন্য পৃথকীকরণ পাত ব্যবহার করা হয়৷ তাকগুলি সহজ ও নমনীয় হয়৷ ইচ্ছানুসারে এর কমানো বাড়ানো যায় ৷


শেলভিং পদ্ধতি: উপযুক্ত স্ট্যাক বাছাই করার পরে গ্রন্থ গুলি কে সেই স্টাকে সংযুক্ত হয়৷ সুবিন্যাস্ত ভাবে গ্রন্থ সাজানকে বলা হয় শেলভিং পদ্ধতি৷ নানা রকমের বিন্যাসের ক্রোম অবলম্বনে বইগুলি গোছানো হয়৷ তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাক বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটতে পারে৷ বই গুলির যাতে ব্যবহার বেশি হয়, পরিবেশ ভালো হয়, তাহলে একটা নিশানা রাখতে হবে যেখান থেকে বইগুলি সাজানো শুরু হয়েছে৷ তাকে ভবিষ্যতের বই রাখার জন্য অন্য জায়গা রাখতে হবে৷ তাক গুলি চওড়া কম হবে৷ তাক থেকে তাকে যাবার জন্য জায়গা রাখতে হবে৷ গ্রন্থাগারে উল্লেখযোগ্য বিন্যাস পদ্ধতি হলো

i) বর্গি কৃত বিন্যাস:গ্রন্থাগারের ব্যবহৃত গ্রন্থগুলোকে বর্গীকরণ পদ্ধতি অনুযায়ী সাজানো হয়৷যে গ্রন্থাগারে যে বর্গীকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেই অনুযায়ী বইগুলি বিন্যস্ত হয়৷ কিন্তু এই ব্যবস্থায় অসুবিধা হলো গ্রন্থের আয়তন বিভিন্ন হলে এটি অনুসরণ করতে অসুবিধা হয়৷

ii) ভঙ্গক্রম: যেসব বইয়ের চাহিদা গ্রন্থাগারে বেশি, সেগুলি আলাদা করে যে সামনের দিকে একটি বিশেষ ক্রমানুসারে সাজাতে হয়৷ পাঠকবা গ্রন্থাগার কর্মী তাহলে সহজেই সেই বইগুলিকে সন্ধান পেতে পারে৷পাঠকের সময়ের সাশ্রয় হয় এবং প্রয়োজনীয় বইগুলি পাঠকের নজরে আসার জন্য নিশ্চিন্ত করা যায়৷ শিশুদের বই, রেফারেন্স বই এবং কিছু বিশেষ বই পাঠকের সহজেই ব্যবহারের জন্য সে ভাবে সাজানো আছে তার থেকে আলাদা করা হয়৷তাই নিয়মিত বিন্যাস এর মধ্যে এসে যায় ভঙ্গতা৷ কিন্তু ভঙ্গক্রমে বইগুলি যে কোন বর্গীকরণ এর নীতি অনুসারে সাজাতে হবে৷

iii) সমান্তরাল বিন্যাস: যখন একই বর্গি কৃত বিন্যাস পদ্ধতি ও আকার ভিত্তিক বিন্যাস পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তখন তাকে সমান্তরাল বিন্যাস বলা হয়৷ সবচেয়ে বড় আকারে বইগুলি নিজের শেলফে বিন্যাস করা হয়৷ সবচেয়ে বড় আকারের বই নিচের শেলফে রেখে ছোট আকারের বই পেছনে সাজিয়ে রাখা থাকে৷ অর্থাৎ কোটি নির্দিষ্ট আকারের একটি পৃথক সারিতে সাজানো থাকবে৷ কিন্তু সেটার বর্গিকৃত বিন্যাস হবে৷

iv) ব্লক বিন্যাস: এখানে একটি বা দুটি আলমারি কে বা শেলফ কে এক একটি ব্লক হিসেবে ধরে নেওয়া হয় এবং সেখানে একই ধরনের বই বর্গীকরণের বর্গ অনুযায়ী সাজিয়ে রাখা হয়৷ যেমন বাংলা গল্পের বইয়ের শেলফ গুলি সাধারণ বাংলা বইয়ের থেকে পৃথক করে শেলফে সাজিয়ে রাখা।

v) ফিতা বিন্যাসঃ পাঠকের আকর্ষণ বাড়াবার জন্য গল্প-উপন্যাসের বইগুলিকে মধ্যে রেখে অন্য ধরনের গ্রন্থ গুলিকে উপর নীচে সাজিয়ে রাখা হয়৷ অর্থাৎ গল্প ও উপন্যাস বইগুলি মধ্যবর্তী তাকে এবং অন্যান্য গ্রন্থ গুলি উপরের ও নিচের তাকে রাখা হয় ৷

Post a Comment

0 Comments