কম্পিউটার বেসিক ধারণার :

কম্পিউটার এর বাংলা অর্থ

কম্‌পিউটার্‌ (বিশেষ্য) বিভিন্ন পদ্ধতিতে নানা ধরনের তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করতে ও ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম এমন এক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা সূক্ষ্ম হিসাব নিকাশ, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, প্রকাশনার কাজ, চিত্রসম্পাদনা, রোগ নির্ণয়, যোগাযোগ প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
( ইংরেজি) computer হল এমন একটা যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব তাড়াতাড়ি করতে পারে। কম্পিউটার এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাকে একটা কমান্ড দিলে এক সেকেন্ডের ভেতরে সে কমান্ডো অনুসারে অনেকগুলো উত্তর সামনে এনে দেয়। কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক কম্পিউট শব্দ থেকে এসেছে। কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ গণনা করা। আর কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারকে তথ্য গ্রহণকারী এবং বিশ্লেষণকারী হিসেবে বলা যায়। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটার এর প্রভাব। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।


কম্পিউটার (Computer) আবিষ্কারক


কম্পিউটার তৈরি প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। ১৮৩৩ সালে সর্বপ্রথম এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা তিনি গ্রহণ করেন এবং সেই অনুযায়ী নকশা তৈরি করেন। পরবর্তীতে সে নকশার উপর ভিত্তি করে তিনি একটি কম্পিউটার তৈরি করেন। তাই চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।


কম্পিউটার(Computer) কিভাবে কাজ করে

কম্পিউটার সাধারণত দুটি সিস্টেমে কাজ করে থাকে। 

(১) হার্ডওয়ার

(২) সফটওয়্যার

১) হার্ডওয়ার: কম্পিউটারের হার্ডওয়ার বলতে বোঝায় কম্পিউটারের বাইরে সকল যন্ত্রপাতি ডিভাইসগুলোকে। এই হার্ডওয়ার কে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায় যেমন:

      (ক) ইনপুট: ইনপুট যন্ত্রপাতি হচ্ছে কীবোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা।

       (খ) সিস্টেম ইউনিট: হার্ডডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি।

      (গ) আউটপুট: মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার, প্রজেক্টর, হেডফোন ইত্যাদি।


(২) সফটওয়্যার: কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তোলাকেই সফটওয়্যার বলে। সফটওয়্যার প্রধানত দুই প্রকার যেমন:

      (ক) সিস্টেম ইউনিট: যেসব সফটওয়্যার কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কে পরিচালনা করার জন্য এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলোকে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে তাদেরকে এই সিস্টেম সফটওয়্যার বলা হয়।

      (খ) এপ্লিকেশন সফটওয়্যার: যে সকল কম্পিউটার সফটওয়্যার মানুষকে কোন বিশেষ ধরনের কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করে সে সকল কম্পিউটার সফটওয়্যার কে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয় যা বিশেষ ধরনের ব্যবহার বিধি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামের সমষ্টি।

কম্পিউটার (Computer) যে সকল কাজে ব্যবহৃত হয়


বর্তমানে টেকনিকেল সব কাজেই কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া মানুষের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে। নিম্নে তার কিছু বিবরণ দেওয়া হলো।

> অফিশিয়াল বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> আদালতে কোর্টকাছারিতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> ব্যাংকিং কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়

> হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়

> যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হয়

> শিক্ষাখাতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়

> শিল্প ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার হয়

> তথ্য ও পরিসংখ্যান ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> প্রোগ্রামিং কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> আবহাওয়া পূর্বাভাসে ব্যবহৃত হয়

> অর্থ বাজার এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

> সামরিক ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

>  সংস্কৃতি ও বিনোদন কাজে কম্পিউটার ইউজ হয়

> সরকারি বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হয়

> বেসরকারি বিভিন্ন খাতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।

> নেটওয়ার্কিং বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে

> টেকনোলজিক্যাল বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে

এসব কাজ ছাড়াও আরও বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন টেকনোলজি খাতে কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পুরো পৃথিবীতে কম্পিউটার ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পরিশেষে বলা যায় যে কম্পিউটার ছাড়া বর্তমান পৃথিবীতে উন্নতির শিখরে পৌঁছা সম্ভব নয়। এক কথায় বলা যায় কম্পিউটার একটি অন্যতম ব্যক্তির উৎস। যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ভূমিকা অপরিসীম। দেশে এবং দেশের বাইরে বড় বড় টেকনোলজির কাজ সম্পাদন করতে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে। পুরো পৃথিবীতে আজ কম্পিউটারের দাঁড়ায় সব কাজ সম্পাদিত হচ্ছে। অতএব দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার ভূমিকা অপরিসীম।

Post a Comment

0 Comments